
গ্রিস সরকার ২০২৫ সালের গ্রীষ্ম থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন অভিবাসন নীতিমালার ঘোষণা দিয়েছে, যার আওতায় প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই শাস্তি শুধু তখনই মওকুফ করা হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ কর্মসূচি বাতিল: ২০২৫ সালের মার্চ মাসে গ্রিস সরকার একটি কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়, যা ৪০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর শাস্তি: বর্তমানে প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত ছয় মাসের স্থগিত দণ্ড পেয়ে থাকেন। নতুন নীতিমালায় এই দণ্ডের পরিবর্তে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসন গ্রহণযোগ্য নয়: অভিবাসন মন্ত্রী মাকিস ভোরিদিস বলেছেন, শুধু অর্থনৈতিক প্রয়োজনে অভিবাসন বৈধতা পাওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, "যদি আমরা অর্থনৈতিক প্রয়োজনে অভিবাসনকে বৈধতা দিই, তাহলে ইউরোপকে শত শত মিলিয়ন মানুষ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"
গ্রিসের এই কঠোর নীতিমালার কারণে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার সংস্থা গ্রিসকে সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সতর্ক করেছে। ২০২৩ সালে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যু এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের রায়ে গ্রিসের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
গ্রিসের নতুন অভিবাসন নীতিমালা অভিবাসীদের জন্য কঠোর শর্ত আরোপ করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই নীতিমালার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে এবং অভিবাসীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: এপি