যুক্তরাজ্যে অভিবাসন হ্রাস: শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১০:২৯

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ও নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে বিবিসি একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য ও পরিবর্তনগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের সাম্প্রতিক চিত্র
নেট অভিবাসন: ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে যুক্তরাজ্যে নেট অভিবাসন ছিল ৭২৮,০০০, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কম।
মোট আগমন: এই সময়ে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ যুক্তরাজ্যে এসেছেন, যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ (প্রায় ১ মিলিয়ন) ছিলেন নন-ইইউ নাগরিক।
শিক্ষা ও কাজের উদ্দেশে আগমন: নন-ইইউ নাগরিকদের মধ্যে ১২৭,০০০ জন পড়াশোনার জন্য এবং ১১৬,০০০ জন কাজের জন্য যুক্তরাজ্যে এসেছেন।
নতুন অভিবাসন নীতির মূল দিক
ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা: সব ভিসা আবেদনকারী ও তাদের প্রাপ্তবয়স্ক নির্ভরশীলদের জন্য ইংরেজি ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
যোগ্যতা ও বেতন সীমা: স্কিল্ড ওয়ার্কার ভিসার জন্য এখন ডিগ্রি-স্তরের যোগ্যতা প্রয়োজন এবং বেতন সীমা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮,৭০০ ইউরো হয়েছে।
গ্র্যাজুয়েট ভিসা: বিদেশি গ্র্যাজুয়েটরা এখন পড়াশোনা শেষে ১৮ মাস যুক্তরাজ্যে থাকতে পারবেন, যা আগে ছিল ২ বছর।
স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা: স্থায়ী বসবাসের জন্য এখন ১০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাসের প্রয়োজন, যা আগে ছিল ৫ বছর।
সোশ্যাল কেয়ার ভিসা: কোভিড-১৯ মহামারির সময় চালু হওয়া সোশ্যাল কেয়ার ভিসা ২০২৫ সালের জুনে বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থী ও নির্ভরশীলদের জন্য পরিবর্তন
স্টুডেন্ট ভিসা: ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৯৩,১২৫টি স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম।
নির্ভরশীলদের ভিসা: স্টুডেন্ট নির্ভরশীলদের জন্য ভিসা ইস্যু ৮৫ শতাংশ কমে ২১,৯৭৮-এ নেমে এসেছে।
নতুন নিয়ম: ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে শুধু গবেষণা প্রোগ্রামে ভর্তি পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা নির্ভরশীলদের সঙ্গে আনতে পারবেন।
স্বাস্থ্য ও সোশ্যাল কেয়ার খাতে কর্মসংস্থান
ভিসা ইস্যু: ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও সোশ্যাল কেয়ার খাতে ২৭,০০০টি ভিসা ইস্যু হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮১ শতাংশ কম।
নির্ভরশীলদের সংখ্যা: এই খাতে কর্মরত প্রতি ব্যক্তির জন্য প্রায় তিনজন নির্ভরশীল যুক্তরাজ্যে এসেছেন, তবে নতুন নিয়মের ফলে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতিগুলো অভিবাসন সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যারা স্থায়ী বসবাস বা দীর্ঘমেয়াদি কাজের পরিকল্পনা করছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি