Logo
×

Follow Us

ইউরোপ

কঠিন হচ্ছে ইউরোপের সীমান্ত, আসছে ইইউর ডিজিটাল পদ্ধতি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:২৯

কঠিন হচ্ছে ইউরোপের সীমান্ত, আসছে ইইউর ডিজিটাল পদ্ধতি

সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আসছে ইইউর ডিজিটাল পদ্ধতি।

অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জোটভুক্ত দেশগুলোতে অন্য দেশের নাগরিকের ঢোকা এবং বের হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইলেকট্রনিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (ইইএস) নামের এই প্রক্রিয়াটি পর্যায়ক্রমে চালু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এক বৈঠকে ইইএস ব্যবস্থাটি পর্যায়ক্রমে চালু করার বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তি যখন জোটভুক্ত দেশগুলোর কোনো একটিতে প্রবেশ বা ছেড়ে যেতে চাইবেন, তখন ইইএস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই ব্যক্তির আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) এবং মুখের গড়নের (ফেসিয়াল রিকগনিশন) মতো বায়োমেট্রিক ডেটাগুলো সংগ্রহ করবে৷

নতুন এই পদ্ধতিটির লক্ষ্য অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নজরদারি ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করা এবং পরিচয় জালিয়াতির সুযোগ বন্ধ করে দেয়া৷ এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা কোনো ব্যক্তি শেনজেন অঞ্চলে অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে আছেন কিনা, সেটিও শনাক্ত করবে ইইএস৷ 

সদস্য রাষ্ট্রগুলো তৃতীয় দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ইতিহাস এবং বসবাসের সময়কাল সম্পর্কিত বাস্তব তথ্য (রিয়েল-টাইম ডেটা) ব্যবহারের সুযোগ পাবে৷ শুরুতে এই পদ্ধতিটি ছয় মাসের ট্রানজিশন পিরিয়ডে চালু করা হবে৷

প্রথম দুই মাস বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ না করেই এটি পরিচালনা করতে পারবে সদস্য দেশগুলো৷ কিন্তু তৃতীয় মাস থেকে কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ সীমান্ত পারাপার ইইএসের মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে৷

ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হতেই এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা যাবে বলে আশা করছে ইইউ৷

ইইএস সম্পূর্ণরূপে কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্টে সিল মারার বিষয়টি অব্যাহত থাকবে৷ আর এটি কার্যকর হয়ে গেলে আর সিল মারা বিষয়টিও থাকবে না৷

ইইউর অভিবাসন বিষয়ক কমিশনার মাগনুস ব্রুনার বলেছেন, এই ব্যবস্থাটি দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা এবং তথ্যের ফাঁকফোকর পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে৷

মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রথমবারের মতো শেনজেন এলাকায় কে বা কারা প্রবেশ করেছেন এবং কে বা কারা বেরিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রিয়েল-টাইম সম্পূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পাব আমরা৷’’

এই ব্যবস্থাটি কবে থেকে কার্যকর করা হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি৷ কারণ, দিন-তারিখ নির্ধারণে ইউরোপীয় কমিশনকে একটি পৃথক সিদ্ধান্ত জারি করতে হবে৷

এটি বাস্তবায়নে আরো কিছু দাপ্তরিক কাজ বাকি আছে৷ এছাড়া ইইএস বাস্তবায়নে ব্রাসেলস এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে৷

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম ইউরোনিউজ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এটি চালু হতে পারে৷

সংবাদমাধ্যমটির অভিবাসন ও নিরাপত্তাবিষয়ক সাংবাদিক ভিনসেনজো জেনোভেসে বলেন, ‘‘এই পদ্ধতি চালুর পথে প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় সমাধান করা এখনো বাকি রয়ে গেছে৷ এছাড়া ইইউর সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই পদ্ধতি বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত বলেও ঘোষণা দিতে হবে৷’’  

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস্ বাংলা

Logo