
জার্মানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে অনিয়মিত অভিবাসনের হার। দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নের ফলাফল এই হার।
জার্মানির ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে অনিয়মিত অভিবাসনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪০% হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাসের পেছনে সীমান্তে কড়া নজরদারি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে তথ্য আদান-প্রদানের উন্নতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
জার্মানি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং মানব পাচার রোধে সমন্বিত অভিযান চালিয়েছে। বিশেষ করে পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যৌথ টহল ও তথ্য ভাগাভাগির মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই হ্রাসের ফলে অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপ কিছুটা কমেছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নিরাপদ প্রবেশের সুযোগ সীমিত হতে পারে।
জার্মান সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া বৈধ অভিবাসনের পথ সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করা যায়।
এই হ্রাস জার্মানির অভিবাসন নীতির সফল বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেয়, তবে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক দায়িত্বের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে