
ফ্রান্স সরকার নাগরিকত্ব ও দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের জন্য কঠোর নিয়ম চালু করেছে। এ নীতি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই পরিবর্তনগুলোর কারণে অনেক দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দা, যারা আগে যোগ্য ছিলেন, এখন নাগরিকত্ব বা আবাসনের অনুমতি পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
মূল পরিবর্তনসমূহ:
১. অতীতের অবৈধ অভিবাসনের ইতিহাসের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান:
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা অতীতে অবৈধভাবে ফ্রান্সে অবস্থান করেছেন, তাদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। যদিও তারা বর্তমানে বৈধভাবে বসবাস করছেন এবং অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করছেন। এই নীতি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
২. ভাষা দক্ষতার জন্য কঠোর মানদণ্ড:
নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীদের এখন ফরাসি ভাষায় B2 স্তরের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে, যা পূর্বে B1 ছিল। দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের জন্য B1 স্তর এবং বহু-বছরের আবাসনের জন্য A2 স্তরের প্রয়োজন হবে। এই পরিবর্তনগুলো ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
৩. আবাসনের জন্য "অভ্যস্ত বসবাস" এর কঠোর সংজ্ঞা:
আবাসনের অনুমতি পেতে আবেদনকারীদের এখন প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ফ্রান্সে তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কেন্দ্র স্থানান্তর করেছেন এবং গত তিন বছরে প্রতি বছর অন্তত ছয় মাস ফ্রান্সে বসবাস করেছেন।
৪. বিদেশি আয়ের উপর ভিত্তি করে নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান:
যাদের আয়ের প্রধান উৎস ফ্রান্সের বাইরে, তাদের নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। কারণ এটি ফ্রান্সে তাদের সম্পূর্ণ একত্রীকরণের অভাব নির্দেশ করে।
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া:
এই পরিবর্তনগুলো অভিবাসী সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করেন, এই কঠোর নিয়মগুলো দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দাদের জন্য নাগরিকত্ব ও আবাসনের পথ আরো কঠিন করে তুলবে এবং তাদের ফ্রান্সে একীভূত হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এই পরিবর্তনগুলো ফ্রান্সের অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা অভিবাসীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেলোবিজ