
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা নারীদের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনছে। "Women for Refugee Women" (WRW) নামক দাতব্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নীতির ফলে অনেক নারী যৌন পেশায় বাধ্য হচ্ছেন, অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
প্রতিবেদনের মূল তথ্য:
১১৭ জন নারী আশ্রয়প্রার্থীর উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ শতাংশ নারী বেঁচে থাকার জন্য যৌন পেশায় নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়েছেন।
৩৮ শতাংশ নারী আর্থিক নির্ভরতার কারণে অবাঞ্ছিত বা অপব্যবহারমূলক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
প্রায় অর্ধেক নারী মৌলিক প্রয়োজনীয়তা, যেমন স্যানিটারি পণ্য, কেনার সামর্থ্য রাখেন না।
৮০ শতাংশ নারী পোশাক, পরিবহন বা ফোন ক্রেডিটের জন্য অর্থ জোগাড় করতে পারেন না।
৮৫ শতাংশ নারী উদ্বেগ বা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং ৪৩ শতাংশ আত্মহত্যার চিন্তা করেছেন।
WRW-এর সহপরিচালক আন্দ্রেয়া ভুকোভিচ বলেন, "আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা নারীদের শোষণমূলক ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং সমাজে একীভূত হওয়ার পথ রুদ্ধ করছে।"
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৮ শতাংশ নারী কাজ করতে চান এবং সমাজে অবদান রাখতে ইচ্ছুক। তবে সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে। হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, "আমরা একটি ন্যায্য, দক্ষ এবং টেকসই আশ্রয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
WRW সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কাজের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করতে এবং সিদ্ধান্তের জন্য ছয় মাস অপেক্ষার পর তাদের কাজ করার অনুমতি দিতে, যাতে তারা শোষণ থেকে রক্ষা পায় এবং সমাজে সুস্থভাবে বসবাস করতে পারে।
তথ্যসূত্র: www.ein.org.uk/news