ভারত থেকে ঢাকায় এসেছে ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকায় জমে থাকা ভিসা আবেদন দ্রুততর করতেই দলটি এসেছে। দলটি ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত গ্রিস মিশনের। তারা সাময়িকভাবে ঢাকায় কাজ করছে, যাতে দীর্ঘদিনের ভিসা-সংক্রান্ত ভোগান্তি কিছুটা কমে।
গ্রিসসহ পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও পর্তুগালের বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ মিশন বা কনস্যুলার সেবা নেই। ফলে আবেদনকারীদের নথি জমা ও ভিসা সংগ্রহ দুই ধাপেই যেতে হয় নয়াদিল্লি। এতে সময়, খরচ এবং ঝামেলা সবই বেড়ে যায়। গত ৫ আগস্টের পরে ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা বিধিনিয়ম কঠোর করায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে। অনেকেরই এখন দিল্লি যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিসের এ উদ্যোগ সাময়িক স্বস্তি দেবে ঠিকই, তবে স্থায়ী সমাধান জরুরি।
সম্প্রতি ঢাকায় ইইউর ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকেও এ বিষয়টি তোলা হয়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস অনুরোধ করেন, ইইউ সদস্য দেশগুলো যেন তাদের ভিসা সেন্টারগুলো দিল্লি থেকে ঢাকায়, অথবা নিকটবর্তী কোনো দেশে স্থানান্তর করে। তার ভাষায়, ভারত ভিসা সংকটে অনেক শিক্ষার্থীই এখন বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ হারাচ্ছেন। বৈঠকে ইইউ কূটনীতিকরাও বাংলাদেশ-ইইউ সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বুলগেরিয়া ইতোমধ্যে তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে সরিয়ে নিয়েছে। অন্য দেশগুলোকেও তিনি একই পথে এগোনোর অনুরোধ করেছেন। কর্তৃপক্ষের মতে, পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশই যেমন পোল্যান্ড ও রোমানিয়া উচ্চ ব্যয়ের কারণে ঢাকায় মিশন চালায় না।
কেউ কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন, বাংলাদেশ সরকার গুলশানে জমি বা কন্ডোমিনিয়াম সুবিধা দিলে তারা কনস্যুলার অফিস স্থাপনে আগ্রহী হতে পারে।
রেক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, ইউরোপে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু কনস্যুলার সেবা ঢাকায় না থাকায় অভিবাসন প্রক্রিয়া খুব ধীরে এগোয়। মানুষের বড় সমস্যা, ভারতীয় ভিসা পাওয়া কঠিন আর দিল্লিতে থেকে সেনজেন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে প্রায় এক মাস পর্যন্ত।
logo-1-1740906910.png)