যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৯টি শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। তবে এই বৃদ্ধির মধ্যে চীনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্লোবালের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। 

চীন এখনো যুক্তরাজ্যে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশ হলেও এ বছর সেখানে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। গত বছরের তুলনায় চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যু কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশেষ করে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ১৯ শতাংশ হ্রাস, প্রি-সেশনাল ইংরেজি কোর্সে ২৯ শতাংশ হ্রাস এবং শিশু শিক্ষার্থী ভিসায় ৩৪ শতাংশ হ্রাস হয়েছে। তবে ব্যাচেলর পর্যায়ে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ব্যয় বৃদ্ধি, আঞ্চলিক গন্তব্যে ঝোঁক এবং বিদেশি ডিগ্রির মূল্য নিয়ে চীনা চাকরির বাজারে সন্দেহ।

অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। ভারত থেকে শিক্ষার্থী ভিসা বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ, নাইজেরিয়া থেকে ৭৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে ১১৩ শতাংশ। পাকিস্তানেও বৃদ্ধি দেখা গেছে। নেপালে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, ৯৩ শতাংশ। এসব দেশ থেকে মূলত মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকেও শিক্ষার্থী ভিসা বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। তুরস্কে ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। তবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পতন দেখা গেছে। বিপরীতে ভিয়েতনাম থেকে ২৫ শতাংশ এবং হংকং থেকে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কুয়েত ও সৌদি আরব থেকে শিক্ষার্থী ভিসা কিছুটা বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে তুলনামূলক স্থিতিশীল প্রবণতা দেখা গেছে।

শিক্ষার স্তর অনুযায়ী দেখা যায়, ব্যাচেলর ও মাস্টার্স পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় সমান বৃদ্ধি হয়েছে, ৯ ও ১১ শতাংশ। তবে শিশু শিক্ষার্থী ভিসা কমেছে ১৮ শতাংশ। এর একটি বড় কারণ হলো প্রাইভেট স্কুলে ভ্যাট আরোপ, যা খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে।