Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা - শেষ পর্ব

স্কলারশিপ পেতে চাইলে থাকতে হবে বিশেষ যোগ্যতা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৯

স্কলারশিপ পেতে চাইলে থাকতে হবে বিশেষ যোগ্যতা
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশের শিক্ষার্থীদের প্রায় শতভাগকে ভিসা দিচ্ছে দেশটি। দেশটিতে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, স্কলারশিপ, সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্ন কথা বলেছে দেশের ও অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টদের সাথে। তারা দিয়েছেন নানা পরামর্শ। তা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্নের পাঁচ পর্বের ধারাবাহিকের আজ শেষ পর্ব। 

বিদেশে পড়াশোনায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন একটি স্কলারশিপ পাওয়া। কিন্তু সবাই কি পায় স্কলারশিপের সন্ধান? স্কলারশিপ পেতে কী কী শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে? কোন দক্ষতা অর্জন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে? এ নিয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের থাকে নানা প্রশ্ন। অস্ট্রেলিয়ায় মেলবোর্নের মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. রকিব চৌধুরী জানালেন, আন্ডারগ্রেডে স্টুডেন্টদের স্কলারশিপ বিশ্বব্যাপী কমই থাকে। মাস্টার্স ও পিএইচডির বেলায় তা বাড়তে থাকে। তবে সায়েন্সের সাবজেক্টের বিষয়গুলোতে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।      

অনেক সময় স্কলারশিপ না পেলেও টিচিং অ্যাসোসিয়েট হতে পারার সুযোগগুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা লুফে নিতে পারে, যা দিয়ে জীবনযাপনের খরচ অনেকটাই পুশিয়ে নিতে পারবে তারা। সে জন্য শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্ট থাকাও দরকার। ড. রকিব জানান, সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ পাওয়া যায় ভালো রেজাল্ট থাকলে। কারণ এসব স্কলারশিপ কেবল সরকার থেকেই আসে না, এসব আসে গবেষকদের ও সুপারভাইজারদের নিজস্ব ফান্ড থেকে আসে। আন্ডারগ্রেডে বিশেষত ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের বেলায় তা কমই হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারি স্কলারশিপ আছে। যেমন- অস্ট্রেলিয়ান অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ। আছে আরটিপির আওতায় বিশেষ স্কলারশিপও। এছাড়া কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফুল ফান্ডেড বা অর্ধেক স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। পৃথিবীর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাক না কেন, তারা সেখানে স্কলারশিপের খোঁজ নিলে মিলতে পারে কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি।  

তবে পিএইচডি প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সুযোগ বেশি হলেও তাতে প্রতিযোগিতা বেশি। নিজের যোগ্যতা তাতে নানা ভাবে প্রকাশ করতে হয়। স্কলারশিপ পেতে গেলে সেখানে দেখাতে হয় ম্যাক্সিমাম যোগ্যতা। ড. রকিব মনে করেন, একটা ভালো জার্নালে একটা ভালো গবেষণা প্রবন্ধের কারণে বদলে যেতে পারে স্টুডেন্টের ভাগ্য। তাই পাবলিকশনের বেলায় কোয়ালিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যা তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে, যদি তা খুব ভালো মানের জার্নালে প্রকাশিত হয়।   

তাৎক্ষণিক স্কলারশিপ না পেলে পিএইচডির অফার শিক্ষার্থীদের হাতছাড়া না করার পরামর্শ দিয়ে ড. রকিব চৌধুরী বলেন, ১ বছরের সময় নিয়ে শিক্ষার্থী স্কলারশিপ খোঁজাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। 

তবে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে, গবেষণা কাজ আধুনিক হলে, তাতে বিশ্বে নতুন জ্ঞানের আলো জ্বালাতে পারার সম্ভাবনা দেখা গেলে, অনেক সময় শিক্ষার্থীদের জন্য সুপারভাইজারই এনে দেন স্কলারশিপের সুযোগ।

মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট

Logo