অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা - পর্ব ২
দেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার সফলতা অনেক বেশি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশের শিক্ষার্থীদেরও প্রায় শতভাগ ভিসা দিচ্ছে দেশটি। দেশটিতে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, স্কলারশিপ, সুযোগ আর সম্ভাবনা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্ন কথা বলেছেন দেশের ও অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টদের সাথে। তারা দিয়েছেন নানা পরামর্শ। তা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্নের পাঁচ পর্বের ধারাবাহিকের আজ ২য় পর্ব।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় ভিসা পাওয়ার সফলতার হার উচ্চ। দেশে ও বিদেশে ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের ভিসা পাওয়ার হার প্রায় শতভাগ। যদিও এ বছর ১ জুলাই থেকে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের খরচ ১৬০০ থেকে ২০০০ ডলার বাড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মেলটন মাইগ্রেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, অস্ট্রেলিয়া সরকার হয়তো আরো ‘ওয়েল অফ’ স্টুডেন্ট চাইছে। সে কারণে ভিসা আবেদনের খরচ বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে, এইএস স্টাডি এ্যাব্রডের ফাউন্ডার ও সিইও ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট শুভাশিষ চাকমা মাইগ্রেশন কনসার্নকে জানান, ২০২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসেবে ভিসা দেওয়ার হার ৯৯.১%। তাহলে বুঝতে হবে যে জেন্যুইন বলেই ভিসা পাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।
অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত। ওয়ার্ল্ড রেংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও শখানেক। বৈচিত্র্যময় বিষয়, স্কলারশিপের সুযোগ, ইউনিক এজ্যুকেশন সিস্টেম, স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় খণ্ডকালীন চাকরি, পড়াশোনা শেষে চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে টপ ডেস্টিনেশন অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ থেকে সায়েন্সের স্টুডেন্টরাই বেশি পড়াশোনার সুযোগ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়।
শুভাশিষ চাকমা জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে পড়াশোনা এখন অস্ট্রেলিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে। আর অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলোও ওয়াইড রেঞ্জ কোর্স অফার করছে।
দেশটিতে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট যাওয়ার পরিসংখ্যানও তাই বলছে। বছর দশেক আগেও বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট যেত বছরে গড়ে ১৩শ থেকে ১৪শ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া বা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পাশের দেশ নেপাল থেকে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
স্টুডেন্ট মাইগ্রেশন ব্যবসার সাথে যুক্ত এই দুই কনসালট্যান্টরা বলছেন, স্টুডেন্ট জেন্যুইন হলে, ইংরেজির দখল থাকলে, কাগজপত্র ঠিকঠাক আর অর্থের সংস্থান দেখাতে পারলে স্টুডেন্টদের অস্ট্রেলিয়া যেতে পারা কঠিন নয়।
তবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও আগাম আর্থিক পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি। আর্থিক পরিকল্পনা ছাড়া সন্তানকে বিদেশে পড়তে পাঠালে লাভের চেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে শিক্ষার্থীর জীবন।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট।