Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার বিস্তারিত - পর্ব ১

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে প্রস্তুতি নেব কখন থেকে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৫

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে প্রস্তুতি নেব কখন থেকে?
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশের শিক্ষার্থীদেরও প্রায় শতভাগ ভিসা দিচ্ছে দেশটি। দেশটিতে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, স্কলারশিপ, সুযোগ আর সম্ভাবনা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্ন কথা বলেছেন দেশের ও অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টদের সাথে। তারা দিয়েছেন নানা পরামর্শ। তা নিয়ে মাইগ্রেশন কনসার্নের পাঁচ পর্বের ধারাবাহিকের আজ ১ম পর্ব।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ১২ থেকে ১৪ হাজার শিক্ষার্থী যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও বছর দশেক আগেও এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১২শ থেকে ১৪শ জন। কিন্তু কেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা? অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যেতে চাইলে প্রস্তুতি কেমন হবে? কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে? 

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ আরো প্রসারিত হতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের কারণে। গত ৪ আগস্ট রয়টার্স খবর দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া ২০২৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে অতিরিক্ত ২৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে, ভিসা দেবে। ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার স্টুডেন্ট ভর্তির জন্য আসন ঠিক করেছিল। ফলে ২০২৬ সালে তা বেড়ে হবে ২ লাখ ৯৫ হাজার। বিদেশে পড়তে চাওয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি ভালো খবরই বলছেন দেশ-বিদেশের ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টরা। 

তাহলে এখন জানার প্রয়োজন, অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যেতে চাইলে প্রস্তুতি কেমন হবে? কত আগে থেকে কোন কোন প্রস্তুতি নিতে হবে? অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টরা জানান, আন্ডারগ্রেডে আসতে চাইলে প্রস্তুতি নিতে হবে এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই। প্রথমেই দিতে হবে আইইএলটিএস পরীক্ষা। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মেলটন মাইগ্রেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, আইইএলটিএসে যদি ৭ বা ৭.৫ পায় কোনো শিক্ষার্থী, তাহলে অস্ট্রেলিয়ায় ভর্তি হওয়া বা ভিসা পাওয়া সহজ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের মিনিমাম রিকোয়ারম্যান্ট হলো ৬। এর নিচে হলে হবে না।

অন্যদিকে, এইএস স্টাডি এ্যাব্রডের ফাউন্ডার ও সিইও শুভাশিষ চাকমা জানালেন, যারা জেন্যুইন স্টুডেন্ট তাদের অফার লেটার ও সিওই দেবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ভিসা দেওয়ার এখতিয়ার কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট ও হোম অ্যাফেয়ার্সের। শুভাশিষ চাকমা জানালেন, শিক্ষার্থীদের মূলত কয়েকটি জিনিস দেখা হয়; যেমন- তার পড়াশোনার ব্যাকগ্রাউন্ড, কোনো গ্যাপ আছে কিনা, যে কোর্স পড়তে যাবে তার সাথে রেলেভেন্স আছে কিনা, ইংরেজির প্রফিসিয়েন্সি আছে কিনা আর শেষে ব্যাংক সলভেন্সি আছে কিনা। এসব ঠিক থাকলে অস্ট্রেলিয়া কোনো ঝামেলাই করে না ভিসা দিতে।   

আইইএলটিএসের প্রস্তুতির সাথে সাথে নিতে হবে ব্যাংক সলভেন্সির প্রস্তুতি। সাবজেক্ট চয়েজেও লাগে সঠিক গাইডলাইন।তা না হলে ভিসা রিফিউজড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে মেলটন মাইগ্রেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এক বছরের টিউশন ফি তার থাকতে হবে অ্যাকাউন্টে, সাথে প্লেন ফেয়ারসহ যাবতীয় খরচের অর্থ। শুভাশিষ চাকমা জানালেন, ব্যাংকে টাকা শুধু থাকলেই চলবে না, তার সোর্সও দেখাতে হবে।   

জেন্যুইন স্টুডেন্ট ক্রাইটেরিয়ার আওতায় পড়তে হলে এমন সব সাবজেক্টই স্টুডেন্টদের চয়েজ করতে হবে, যার সাথে তার পূর্ববর্তী পড়াশোনার সম্পর্ক আছে। পড়াশোনায় বড় গ্যাপ থাকলে বা কাজের কোর্সের মিল না থাকলে ভিসা পাওয়া কঠিন হতে পারে।ভিসা আবেদনের বেলায় কাগজপত্র থাকতে হবে জেন্যুইন। শুভাশিষ চাকমা জানালেন, মিথ্যা তথ্য দিলে ভিসা আবেদন বাতিল হতে পারে। 

দেশে বা বিদেশের ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টরা জানালেন, আশার কথা হলো জেন্যুইন স্টুডেন্টরা সহজে ভিসা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার হারও প্রায় শতভাগ। যাকে আশা জাগানিয়াই বলছেন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টরা।

Logo