
অস্ট্রেলিয়া সরকার ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ কোটা ২ লাখ ৯৫ হাজার জনে উন্নীত করেছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করছে, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার জানান, “আমরা চাই অস্ট্রেলিয়া শুধু একটি গন্তব্য না হয়ে, একটি অংশীদার হোক; বিশ্বের তরুণদের জন্য জ্ঞান, দক্ষতা ও ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক।” তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
নতুন নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক শহরগুলোতে শিক্ষার্থী পাঠানোর জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে, যাতে বড় শহরগুলোর চাপ কমে এবং স্থানীয় অর্থনীতি উপকৃত হয়।
২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ২৭০,০০০ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল, যার মধ্যে ৪০% এসেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে। নতুন কোটা বৃদ্ধির ফলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়া আরো দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান, আবাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা খাতকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরো এগিয়ে নেবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স