বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ অনেকের কাছে নিরাপদ সঞ্চয়ের মাধ্যম। তবে ক্রেতা মারা গেলে টাকা ও মুনাফা কে পাবেন- এ প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির নমিনি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা পুরো টাকা এবং মাসিক মুনাফা উত্তোলন করতে পারবেন।  

নমিনি সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে:  

- ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুসনদ  

- প্রয়োজনে হাসপাতাল বা মেডিকেল থেকে মৃত্যুসনদ  

- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি  

- নমিনির ২ কপি ছবি  

- নাগরিকত্ব সনদের কপি  

- স্বাক্ষর সত্যায়নের কপি  

- নমিনির ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক পাতার কপি  

ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনি চাইলে পুরো টাকা না তুলে সঞ্চয়পত্র চালু রাখতে পারবেন। মেয়াদ শেষে নগদায়ন করে বিধি মোতাবেক নিজ নামে নতুন সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। তবে নমিনি নতুন করে আরেকজন নমিনি যুক্ত করতে পারবেন না।  

ক্রেতা ও নমিনি উভয় মারা গেলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। আদালত কর্তৃক নির্ধারিত উত্তরাধিকারীরাই সঞ্চয়পত্রের মালিকানা পাবেন।  

বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে:  

- পরিবার সঞ্চয়পত্র  

- পেনশনার সঞ্চয়পত্র  

- পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র  

- তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র  

পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি সব সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে। মুনাফার হার ১১.৭০% থেকে ১১.৯৮% পর্যন্ত। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙলে মুনাফা কমে যায়।  

একক বা যৌথ নামে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। মধ্যবিত্তের কাছে এটি সবচেয়ে নিরাপদ সঞ্চয়মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়, কারণ সুদের হার তুলনামূলক বেশি এবং বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত।