প্রতারণার জাল বিছানো প্রবাসীদের স্বজনের চারপাশে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল প্রতারণার ঝুঁকিও বেড়েছে। বিকাশ জানিয়েছে, গ্রাহকদের সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া প্রতারণা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তাই নিজের বিকাশ একাউন্ট নিরাপদ রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
বিকাশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই একাউন্টের পিন বা ভেরিফিকেশন কোড অন্য কাউকে জানানো যাবে না। প্রতারকরা ফোন কল, মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে এসব তথ্য আদায়ের চেষ্টা করে থাকে। একবার তথ্য ফাঁস হলে প্রতারক সহজেই একাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিতে পারে।
এছাড়া প্রতারকরা বিভিন্ন সময় পুরস্কার জেতার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা দাবি করে। বিকাশ স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো পুরস্কার বা অফার পেতে গ্রাহককে কখনোই টাকা পাঠাতে হয় না। এ ধরনের দাবি প্রতারণার অংশ।
গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে হবে অচেনা লিংক বা ওয়েবসাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রেও। প্রতারকরা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে বিকাশের নাম ব্যবহার করে থাকে। এসব লিংকে প্রবেশ করলে একাউন্টের তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিকাশ আরো জানিয়েছে, কোনো এজেন্ট বা দোকানদার গ্রাহকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে বা তুলতে পিন চাইতে পারে না। যদি কেউ এ ধরনের চেষ্টা করে তবে তা প্রতারণার ফাঁদ।
গ্রাহকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সন্দেহজনক কোনো কল বা মেসেজ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ যোগাযোগ করতে। এছাড়া support@bkash.com ইমেইল বা বিকাশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে রিপোর্ট করা যায়।
বিকাশ বলছে, প্রতারকরা সাধারণত গ্রাহকের অসতর্কতাকে কাজে লাগায়। তাই প্রতিটি গ্রাহককে নিজের একাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত পিন পরিবর্তন, অচেনা লিংক এড়িয়ে চলা এবং সন্দেহজনক বার্তা উপেক্ষা করা প্রতারণা প্রতিরোধে কার্যকর।
সবশেষে বিকাশ জানিয়েছে, গ্রাহকের সচেতনতা ও সতর্কতাই ডিজিটাল প্রতারণা প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার। তাই নিজের বিকাশ একাউন্ট নিরাপদ রাখতে প্রতিটি গ্রাহককে দায়িত্বশীল হতে হবে।
logo-1-1740906910.png)