বাংলাদেশি আম: গ্রীষ্মকালীন উপসাগরীয় বাজারে নতুন প্রিয় স্বাদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫

গ্রীষ্ম এলেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ফলপ্রেমীদের মধ্যে আম নিয়ে বাড়ে উন্মাদনা। এতদিন এই বাজারে ভারতীয় আমের আধিপত্য থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি আম, বিশেষ করে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও ফজলি; উপসাগরীয় ভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। স্বাদ, সুবাস ও প্রাকৃতিক মিষ্টতার কারণে এই আমগুলো এখন ধীরে ধীরে সুপারমার্কেটের তাক দখল করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের উর্বর মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের জন্য আদর্শ। এখানকার আমগুলোতে কৃত্রিম পাকানো বা সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না, ফলে স্বাদ থাকে প্রাকৃতিক ও খাঁটি। গ্রীষ্মের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়জুড়ে এই আমগুলো রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে, যার মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব ও ওমান।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে আম রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮ হাজার টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫% বেশি। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বিমানবন্দরে দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উন্নত প্যাকেজিং ও সরাসরি ফ্লাইট সুবিধা।
দুবাইয়ের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, “বাংলাদেশি আমের ঘ্রাণ ও স্বাদ অনেক বেশি প্রাকৃতিক। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি তো বটেই, ভারতীয় ও পাকিস্তানিরাও এখন এই আম খুঁজে নিচ্ছেন।”
বিশেষ করে হিমসাগর ও আম্রপালি আম শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে জনপ্রিয়। কারণ এগুলো আঁশবিহীন ও সহজে হজমযোগ্য। অন্যদিকে, ফজলি আম বড় আকার ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাদের জন্য রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট