শিলিগুড়ি শহরে গত কয়েক দিন ধরে ‘বয়কট বাংলাদেশ’ লেখা পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। জংশন লাগোয়া এলাকায় দেখা গেছে, স্থানীয়রা বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে সমস্ত রকম ব্যবসা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হোটেল মালিকরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা আর বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে রাখতে রাজি নন। কলকাতার জনপ্রিয় দৈনিক এই সময় এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় রয়েছে ১৮০টির বেশি হোটেল। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে না, তবে তাদের অনুরোধ করা হবে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যেতে। তিনি বলেন, “মানবিকতার দিক থেকে আমরা কোনো মানুষের ক্ষতির কারণ হতে চাই না। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে।”
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গড়ে ২৫-৩০ হাজার মানুষ শিলিগুড়িতে আসতেন। তবে সাম্প্রতিক অশান্তির কারণে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ জনে। অনেকেই চিকিৎসা বা পড়াশোনার কারণে শহরের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন। আগে তারা মূলত বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোটেলে থাকতেন, বর্তমানে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে এসে হাশমিচক, হিলকার্ট রোড ও বিধান রোডের হোটেলগুলোতে উঠছেন।
শিলিগুড়ি এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ মাহাতো বলেন, “শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার অপরাধে বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চলছে। এমন মানবতাবিরোধী দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকুক সেটা আমরা চাই না।”
বাংলাদেশের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে শিলিগুড়িতে ভিসা অফিসের সামনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসা ও সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
logo-1-1740906910.png)