পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদানের নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর দেখা গেছে, কিছু সরকারি চাকরিজীবী আবেদনপত্রে পেশা গোপন করেছেন। ই-পাসপোর্ট সিস্টেমেও তথ্য যাচাই সম্ভব হয়নি, কারণ আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) হালনাগাদ পেশাগত তথ্য নেই।
সরকার এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে। ই-পাসপোর্ট সিস্টেমের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের তথ্যভান্ডার আইবাস (IBAS-Integrated Budget and Accounting System) সংযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের পেশা হালনাগাদ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর অতিরিক্ত সচিব (বহিরাগমন অনুবিভাগ) ফয়সল আহমেদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করেছিল।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) জানায়, কিছু সরকারি চাকরিজীবী পেশা গোপন করে সাধারণ পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছেন। এনআইডিতে তথ্য হালনাগাদ না থাকায় সরকারি কর্মচারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ডিআইপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, এ ধরনের অসঙ্গতি ঝুঁকি তৈরি করছে।
ডিআইপি প্রস্তাব দিয়েছেন, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকরিতে যোগদানের তিন মাসের মধ্যে এনআইডিতে পেশা হালনাগাদ বাধ্যতামূলক করা হোক। আইবাসের তথ্য ব্যবহার করে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারি চাকরিজীবীর পেশা যাচাই করবে।
প্রাথমিকভাবে ই-পাসপোর্ট ও আইবাসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে সরকারি কর্মচারীদের এনআইডি হালনাগাদ কার্যক্রম সুবিধাজনক প্রক্রিয়ায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই উদ্যোগ সরকারি চাকরিজীবীরা পেশা গোপন করে পাসপোর্ট নেওয়ার প্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
logo-1-1740906910.png)