বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মালদ্বীপে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। মালদ্বীপে কর্মরত অভিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি।  

২৪ নভেম্বর মালেতে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হাও ঝাং এবং মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল ইসলামের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ২৫ নভেম্বর প্রাপ্ত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

বৈঠকে উভয় পক্ষ চলমান সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। বিশেষ করে প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় সেবা প্রাপ্তি এবং আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাতিসংঘের প্রতিনিধি হাও ঝাং মালদ্বীপে জাতিসংঘের বর্তমান কার্যক্রম, অগ্রাধিকার খাত এবং সম্পদের ব্যবহার নিয়ে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ জাতিসংঘের অন্যতম অগ্রাধিকার।  

বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা ও মৌলিক চাহিদা পূরণে জাতিসংঘের সহায়ক ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি কর্মীরা মালদ্বীপের সংস্কৃতি ও ভাষার সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন এবং দেশটির অর্থনীতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।  

তিনি আরো বলেন, মালদ্বীপের মেডিকেল গ্র্যাজুয়েটরা বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ করতে পারে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য, শ্রম অধিকার ও মানবসম্পদ উন্নয়নে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। হাইকমিশনার যৌথ সেমিনার ও কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তাব দেন, যেখানে জাতিসংঘ, মালদ্বীপ সরকার ও বাংলাদেশ হাইকমিশন একসঙ্গে কাজ করবে।  

জাতিসংঘের প্রতিনিধি এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং জানান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) মালদ্বীপে কর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় উন্নত কাঠামো তৈরি করবে। উভয় পক্ষ আইওএম বাংলাদেশ ও আইওএম মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করে।  

বৈঠকে তারা আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের যৌথ উদ্যোগ শান্তি, মানব সুরক্ষা, প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণ এবং টেকসই উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নেবে।