বাংলাদেশে কিছু এজেন্সি থাইল্যান্ডের ই-ভিসা মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় নিশ্চিত করার দাবি করছে, যা বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস। ২৪ নভেম্বর এক বার্তায় দূতাবাস জানায়, কোনো এজেন্সি থাই ই-ভিসার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ভিসা আবেদন কঠোরভাবে নিয়ম অনুযায়ী পর্যালোচনা করা হয় এবং বিভ্রান্তিকর সেবা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দূতাবাসের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু বিজ্ঞপ্তিতে ভিসা দ্রুত অনুমোদনের দাবি করা হচ্ছে, যা ভ্রমণকারীদের বিভ্রান্ত করছে। থাই ই-ভিসা পেতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না।  

এদিকে যুক্তরাজ্যের ভিসা নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। ২৪ নভেম্বর এক ঘোষণায় জানানো হয়, ভিসার জন্য আবেদন করার সময় যদি কেউ জাল কাগজপত্র জমা দেন, তবে তার বিরুদ্ধে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

হাইকমিশন জানিয়েছে, সব সময় বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। যুক্তরাজ্যের কোনো ভিসা বা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) গ্যারান্টিযুক্ত নয়।  

ভিসা নিশ্চিত করার নামে কেউ যদি ফোন, ই-মেইল বা বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করে, তাহলে তা প্রতারণা হিসেবে বিবেচিত হবে। হাইকমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ভিসা আবেদন ও মূল্যায়ন সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাজ্যের সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এবং কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রভাব বা নিশ্চয়তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।  

নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত অফিসিয়াল নির্দেশিকা ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

সব মিলিয়ে থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভিসা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভিসা আবেদনকারীদের সঠিক তথ্য ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।