দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারো ভারতীয় ব্যবসায়িক ভিসা ইস্যু শুরু হয়েছে। জরুরি ভিসা আবেদনগুলো দ্রুত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ১৯ নভেম্বর দৈনিক কালবেলা এ সংবাদ প্রকাশ করে।

রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান বিনিময় অনুষ্ঠান ‘ফার্মা কানেক্ট’-এ তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ভিসা পেতে যে জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা দ্রুত দূর করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সড়কপথে পণ্য পরিবহন আরো সহজীকরণের দাবি তোলেন।  

ভারতের বিশ্ববিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল মেলা সিপিএইচআই-পিএমইসি ইন্ডিয়া ২০২৫ সামনে রেখে এই আয়োজন করা হয়। আগামী ২৫-২৭ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী।  

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ভিসা আবেদন কেন্দ্রে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে এখন সীমিত কর্মী দিয়েই প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। তিনি জানান, ব্যবসায়িক ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে এবং জরুরি আবেদনগুলো দ্রুত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। আবেদনকারীরা চাইলে হাইকমিশনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুবিধা নিতে পারবেন।  

বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ফার্মা কানেক্টের মতো উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা ও উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সাপ্লাই চেইন সংযুক্তীকরণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কাঁচামাল শিল্প বাড়ছে, তবে ভারত এ ক্ষেত্রে আরো অগ্রসর। স্থলসীমান্ত থাকার কারণে ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানি করলে বাংলাদেশ আরো প্রতিযোগিতামূলক হতে পারবে।

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. জাকির হোসেন জানান, ভিসা জটিলতার কারণে এ বছর সিপিএইচআই-পিএমইসি প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে খুব কমসংখ্যক প্রতিনিধি অংশ নিতে পারছেন। সাধারণত কয়েকশ পেশাজীবী অংশ নিলেও এবার মাত্র ৮৩ জন আবেদন করেছেন। তিনি ব্যবসায়িক ভিসার প্রক্রিয়া আরো সহজ করার অনুরোধ জানান এবং আবেদনকারীদের বিশেষ বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান করেন।