Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সরকারের নতুন অধ্যাদেশে ঝুঁকিতে ট্রাভেল খাত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২২

সরকারের নতুন অধ্যাদেশে ঝুঁকিতে ট্রাভেল খাত

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ট্রাভেল, হজ ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। তাদের আশঙ্কা, এই আইন কার্যকর হলে মুহূর্তেই লাখ লাখ দক্ষ জনবল বেকার হয়ে পড়বে।  

১৫ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আটাবের সাবেক সভাপতি এস. এন. মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব বলেন, দেশে প্রায় ৬ হাজার ট্রাভেল এজেন্সি, ১ হাজার ৪০০ হজ এজেন্সি এবং ২ হাজার ৭০০ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। নতুন অধ্যাদেশে শর্ত দেওয়া হয়েছে, সব এজেন্সিকে আয়াটার টিকিট সেলিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে হবে। অথচ বর্তমানে মাত্র ১ হাজার এজেন্সি আয়াটায় যুক্ত। ফলে বাকি এজেন্সিগুলো কার্যত ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। এতে তাদের উপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।  

নতুন অধ্যাদেশে এমন কিছু ধারা যুক্ত হয়েছে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি করবে।

এর মধ্যে রয়েছে-

- পরিবারের সদস্যদের তথ্য দাখিল বাধ্যতামূলক করা  

- ঋণসংক্রান্ত সিআইবি অনুমোদন  

- অফলাইনে ১০ লাখ এবং অনলাইনে ১ কোটি টাকা ব্যাংক জামানত রাখা  

- বার্ষিক আর্থিক বিবরণী প্রদানের শর্তে লাইসেন্স নবায়ন  

- প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনায় কঠোর শর্ত  

এসব বিধান বাস্তবায়িত হলে পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।  

মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব বলেন, বিশ্বের সব দেশে ট্রাভেল এজেন্সির এজেন্ট টু এজেন্ট (বিটুবি) ব্যবসা প্রচলিত। কিন্তু নতুন অধ্যাদেশে বাংলাদেশে তা বন্ধ করা হচ্ছে। ফলে প্রতিটি এজেন্সিকে আয়াটা নিতে হবে, যার খরচ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের জন্য আরো ২২ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। ৯০ শতাংশ এজেন্সির পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এর ফলে অধিকাংশ এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে।  

তিনি বলেন, “আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সবার স্বার্থ রক্ষায় সমাধান বের হোক। সরকার যেন হাজারো উদ্যোক্তা ও কর্মীর ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে না ঠেলে দেয়।”  

সংবাদ সম্মেলনে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নতুন আইন যেন ব্যবসা বন্ধের হাতিয়ার না হয়ে যায়; বরং একটি সুষ্ঠু, টেকসই ও ন্যায্য ট্রাভেল শিল্প গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।

Logo