‘রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রবণতা পাসপোর্ট সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৩:২৭
বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে অবৈধ অভিবাসনের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা দেশের পাসপোর্টের বৈশ্বিক অবস্থানকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে- এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো।
১০ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ়করণ: বাংলাদেশ ও ইতালির ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২৫ সালে ১৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে পৌঁছেছেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে, যা হতাশাজনক।”
আন্তোনিও আলেসান্দ্রো আরো বলেন, নথিপত্র জালিয়াতির ব্যাপকতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। “বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসা বিদেশিরা আশা করেন, সরকারি সনদ ও নথি নির্ভরযোগ্য হবে। কিন্তু এখানে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সহজেই টাকার বিনিময়ে যে কোনো কাগজ তৈরি করা যায়, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
তিনি জানান, ইতালিতে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থান করা আরো বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। “আমরা চাই না কেউ ১৫ হাজার ইউরো খরচ করে বিপজ্জনক পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করুক,” বলেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, ইতালি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, আধুনিকায়ন ও সংস্কারের পক্ষে। তিনি অধ্যাপক ইউনূস ও তার সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।
সেমিনারে বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস স্বাগত বক্তব্য দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
logo-1-1740906910.png)