গত এক মাসে লিবিয়া থেকে তিন দফায় মোট ৯২৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।  

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে এসব বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। প্রথম ফ্লাইটে ৯ অক্টোবর ৩০৯ জন, দ্বিতীয় ফ্লাইটে ২৩ অক্টোবর ৩০৯ জন এবং তৃতীয় ফ্লাইটে ৩০ অক্টোবর আরো ৩১০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরেন। তাদের মধ্যে অনেকেই লিবিয়ায় অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার জানান, ত্রিপোলির তাজুইরা ও বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে এখনো অনেক বাংলাদেশি আটক রয়েছেন। তাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাস সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা অনিয়মিত অবস্থায় রয়েছেন এবং স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাস সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার এই উদ্যোগ শুধু মানবিক সহায়তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রতিফলন। একই সঙ্গে এটি প্রমাণ করে, বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সচেষ্ট।

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকে দেশে ফিরে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহায়তা চেয়েছেন। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত হলে, অনিয়মিত অভিবাসন রোধ এবং প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।