বিমানের ভেতর দুই বাংলাদেশির মারপিট সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, রাজনীতির আলাপ কিংবা কটু কথা থেকে তর্ক, তারপর মারপিট। ফ্লাইটে মারপিট, তর্কবিতর্ক নিত্যকার ঘটনা না হলেও নানা কারণে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
বিমানে উচ্চতাজনিত সমস্যা, অচেনা মানুষ কাছাকাছি বসে থাকার কারণে অনেক যাত্রীর মানসিক চাপ বাড়ে। ফলে রাগের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তখন ভুল বোঝাবুঝিতে অনেক সময় তুচ্ছ বিষয়ও বড় ঝগড়া বা মারপিটে রূপ নিতে পারে। আবার ঘুম না হওয়া, দু্র্গন্ধ লাগার মতো ঘটনায় অস্বস্তিও গম্ভির পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে।
ফ্লাইটে নানা ধর্ম-বর্ণ-দেশ-সংস্কৃতির মানুষ চলাচল করে। তাই শান্ত থাকতে চাইলে উইন্ডো সিট বেছে নিলে উটকো ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায়। ইগনোর করার অভ্যাস ফ্লাইটে ছোটখাটো সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। হেডফোন দিয়ে গান শুনলে অনেক সময় মন শান্ত থাকে, ছোট সমস্যা তখন চোখে পড়ে না। তবে সমস্যা বড় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে জানালে সহজে সমাধান হয়ে যায়। তাদের বলে আপনি চাইলে সিট বদলে নিতে পারেন।
তবে কেউ আক্রমণাত্মক হয়ে আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করবেন না। তাতে আইনি জটিলতা ও ক্ষতি দুটিই বাড়তে পারে। আর আক্রমণের শিকার হলে ল্যান্ডিংয়ের পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে ফ্লাইটে শান্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঝামেলা বেড়ে গেলে আর নিজে ভুল করলে, ভুলের দায়ও নিজেকে নিতে হয়।
logo-1-1740906910.png)