সরকার নির্ধারিত খরচ ৭৯ হাজার টাকা হলেও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। সংস্থাটি জানিয়েছে, নজরদারিতে থাকা ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩১টির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির নথি রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মামলা করা হবে। তিনি বলেন, “দালাল সিন্ডিকেটের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ভাঙতে আমরা কাজ করছি। প্রবাসী শ্রমিকদের যাত্রা যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্যই এই অভিযান।”
এদিন আরো একটি বড় পদক্ষেপ নেয় দুদক। প্রায় ৮৫৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হোসেনকে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দুদকের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তারা মনে করছেন, প্রবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহকে সুরক্ষিত রাখতে এই ধরনের অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ব্যাংক ও সামরিক খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে দুদক একটি শক্ত বার্তা দিচ্ছে।
এই মামলাগুলো শুধু আইনি পদক্ষেপ নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি বড় উদ্যোগ। প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
logo-1-1740906910.png)