লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে আটকে পড়া আরো ৩১০ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
ফেরত আসা অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তাদের অনেকেই সেখানে অপহরণ, নির্যাতন এবং ডিটেনশন সেন্টারে বন্দিত্বের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়, যেন তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা সমাজে তুলে ধরেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন বিপদে না পড়েন।
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ফেরতপ্রাপ্ত নাগরিককে দেওয়া হয় পথখরচ, খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ধরনের সহায়তা অভিবাসীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
লিবিয়ায় এখনো বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন আরো অনেক বাংলাদেশি। তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানব পাচার প্রতিরোধ এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ শুধু মানবিক সহায়তা নয়, বরং ভবিষ্যৎ অভিবাসন নীতিতে সচেতনতা ও নিরাপত্তা জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একই সঙ্গে এটি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন।
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলো, অনিয়মিত অভিবাসন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে বিপদগ্রস্ত নাগরিকদের রক্ষা করা সম্ভব।
logo-1-1740906910.png)