Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে ইউরোপের শ্রমবাজার হুমকিতে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৬

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে ইউরোপের শ্রমবাজার হুমকিতে

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট ব্যবহার করে ভিসা আবেদন করার কারণে পূর্ব ইউরোপের দুই দেশ সার্বিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার চরম সংকটে পড়েছে। দেশ দুটির দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা আবেদনে ব্যাপক জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে তারা ইতোমধ্যে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ করেছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ভিসা ইস্যু পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ জালিয়াতি বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ।

উত্তর মেসিডোনিয়ার দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ভিসার আবেদন করা ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট ভুয়া। সার্বিয়াতেও একই চিত্র। গত দুই মাস ধরে দেশ দুটি বাংলাদেশিদের জন্য কোনো ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করছে না, তবুও নিয়মিত ভুয়া পারমিট দিয়ে আবেদন জমা পড়ছে।

এদিকে উত্তর মেসিডোনিয়ায় বাংলাদেশি মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও একজন সিলেটের বাসিন্দা। বিষয়টি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে আলোচিত হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিচার শেষে জেল বা নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সার্বিয়ায় একটি চক্র নকল স্টিকার ভিসা তৈরি করে প্রতারণা করছে। তারা ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসার আবেদন করে, আবেদন বাতিল হলে নিজেরাই নকল স্টিকার ভিসা বানিয়ে পাসপোর্টে যুক্ত করে। এরপর বিএমইটি স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করে বিমান টিকিট কেটে যাত্রী পাঠানো হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাদের আটকে দেওয়া হয়।

প্রতারক চক্রগুলো সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের টার্গেট করে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করছে। এমনই একজন ভুক্তভোগী মাজেদুল ইসলাম জানান, তিনি অনলাইনে সার্বিয়ার শ্রমিক ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে এজেন্সি তার আবেদন আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে এবং ভুয়া অ্যাপ্রুভাল ও স্টিকার ভিসা দেওয়ার আশ্বাস দেয়।

নয়াদিল্লিতে উত্তর মেসিডোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত স্লোবোড্যান উজনভ বলেন, “দুই মাস ধরে বাংলাদেশিদের জন্য কোনো ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা হয়নি। তবুও কিছু অসাধু চক্র প্রতিনিয়ত ভুয়া পারমিট দিয়ে আবেদন করছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের বৈধ শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দ্রুত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Logo