Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

শাহজালালে ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয়, যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৪

শাহজালালে ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয়, যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ১৮ অক্টোবর দুপুর সোয়া ২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর ফলে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে দেশি-বিদেশি বহু ফ্লাইট বাতিল বা ডাইভার্ট হওয়ায় যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে।

দৈনিক বণিক বার্তার প্রতিবেদন বলছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুয়েতগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রুদের বোর্ডিংয়ের পরও ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। একইভাবে হিমালয় এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট করাচিতে, ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট কলকাতায় এবং হংকং থেকে আসা একটি কার্গো ফ্লাইটও কলকাতায় ডাইভার্ট করা হয়।

ঢাকায় অবতরণ করতে না পারা বেশ কয়েকটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। চট্টগ্রামে ইউএস-বাংলা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি করে ফ্লাইট অবতরণ করে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চারটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর প্রথমে চট্টগ্রামে ফ্লাইটগুলো অবতরণ করলেও পরে সিলেটেও ফ্লাইট পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকার এয়ারফিল্ড বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণে যাত্রীরা যেমন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি, তেমনি ঢাকায় যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরাও বিমানবন্দরে আটকা পড়েন। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ফ্লাইটের যাত্রা নির্ধারিত ছিল, যার অনেকগুলোর যাত্রী চেক-ইনও সম্পন্ন করেছিলেন।

ঘটনার পরপরই বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, “আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি রাতের মধ্যেই বিমান চলাচল স্বাভাবিক করতে।” তিনি আরো বলেন, “বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।” 

Logo