রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১০
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ৭ অক্টোবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্সের রেকর্ড এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিই এই পুনরুদ্ধারে মূল ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে এবং পরের বছর তা বেড়ে ৬.৩ শতাংশ হতে পারে। তবে কর্মসংস্থান সংকোচন, মূল্যস্ফীতি ও দারিদ্র্য বৃদ্ধিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১.২ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ২০.৫ শতাংশ। একই সময়ে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৭ শতাংশে, আর বেকারত্ব বেড়ে হয়েছে ৩.৭ শতাংশ। বর্তমানে ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে, যাদের মধ্যে ২৪ লাখ নারী।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আগস্টে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮.৩ শতাংশে এলেও তা এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিনিয়োগ স্থবিরতা, দুর্বল ব্যাংক খাত, খেলাপি ঋণ ও রাজস্ব ঘাটতি অর্থনীতির জন্য বড় বাধা। মার্চ ২০২৫-এ ব্যাংক খাতে অকার্যকর ঋণ বেড়ে ২৪.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় ৭.৯ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। একই সঙ্গে মূলধন অনুপাত নেমে ৬.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ন্যূনতম মানদণ্ড ১০ শতাংশের নিচে।
প্রতিবেদন বলছে, শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি থাকলেও নতুন চাকরি তৈরি হয়নি, বরং গড়ে ২.৬ শতাংশ কমেছে। কৃষিতে কিছু উন্নতি হলেও তা সামগ্রিক ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট নয়। তৈরি পোশাক খাত রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কর্মসংস্থানে তা পর্যাপ্ত নয়।
রাজস্ব ঘাটতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৩.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ৪.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কর প্রশাসনে সংস্কার, অনলাইন কর দাখিল বাধ্যতামূলক করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ঘাটতি রয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের পরিচালক জ্যঁ পেম বলেন, “টেকসই প্রবৃদ্ধি ও ভালো কর্মসংস্থানের জন্য সাহসী সংস্কার ও দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।”
তথ্যসূত্র: দৈনিক আজকের পত্রিকা
logo-1-1740906910.png)