বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, বিশ্বের ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এসব দেশকে মাথায় রেখে প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রবাসীদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য হিসাব নেই।
ইসি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বায়রা (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি) থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কাতার, বাহরাইন, ওমান, লেবানন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, রাশিয়া, তুরস্কসহ ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে।
এই দেশগুলোতে মোট প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে, ৪০ লাখের বেশি। সবচেয়ে কম প্রবাসী রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে, মাত্র ২ হাজার ৫০০ জন।
ইসির ধারণা, এসব প্রবাসীর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। সেই হিসেবে প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বাস্তবে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে প্রবাসী ভোটের হার ২০-২২ শতাংশের বেশি হয় না।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “প্রবাসীদের সঠিক সংখ্যা জানা কঠিন। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখের মতো প্রবাসীর তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের এনআইডি আছে বলে ধারণা করছি।”
ইসি কর্মকর্তারা আরো জানান, বিদেশে দলগুলোর প্রচারে কোনো আইনি বাধা নেই। ফলে প্রবাসী শাখাগুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রচার চালানো হতে পারে। তবে এতে বিশৃঙ্খলা বা অনলাইন বিদ্বেষ ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর
logo-1-1740906910.png)