Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমাতে হবে: গভর্নর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৯

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমাতে হবে: গভর্নর

সৌদি আরব থেকে প্রবাসী আয় পাঠাতে যে উচ্চ হারে খরচ দিতে হয়, তা কমানো জরুরি বলে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে সৌদি আরব-বাংলাদেশ ব্যবসা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করলে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।

গভর্নর জানান, সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ দিতে হয়, যা তাদের জন্য বড় চাপ। অথচ সৌদি আরব বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস। তাই এই খাতে দক্ষতা ও খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি এবং ট্রিলিয়ন ডলারের পথে অগ্রসর হচ্ছে। গত ৩০ বছরে কোনো বৈশ্বিক সংকটই দেশের প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচক করতে পারেনি। এ কারণে সৌদি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বর্তমানে সৌদি আরব থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রশংসনীয় হলেও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা গেলে তা বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বড় তহবিল প্রয়োজন। সৌদি তহবিলের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে ‘ফ্রন্টিয়ার’ থেকে ‘ইমার্জিং মার্কেট’-এ উন্নীত করা যেতে পারে। জ্বালানি ও বস্ত্র খাত ছাড়াও আরো বহু খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

এসএবিসিসিআই সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু হলেও গত ৫৩ বছরে কোনো যৌথ ব্যবসায়ী চেম্বার গড়ে ওঠেনি। এবার সেই উদ্যোগ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষ শ্রমিক রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। বিপরীতে সৌদি বিনিয়োগে অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতে উন্নয়ন ঘটবে।

সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু কেউই একে অপরের শীর্ষ পাঁচ বাণিজ্য অংশীদার নয়। ফলে পারস্পরিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ অনেক। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত, কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ দক্ষ। যৌথ প্রশিক্ষণ উদ্যোগের মাধ্যমে এই হার বাড়ানো গেলে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Logo