Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

‘ফ্রি ভিসা'র ফাঁদে মালদ্বীপ নিয়ে প্রতারণা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৪

‘ফ্রি ভিসা'র ফাঁদে মালদ্বীপ নিয়ে প্রতারণা

পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছিলেন শত শত বাংলাদেশি। কিন্তু ‘ফ্রি ভিসা’ নামের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এখন তারা কর্মহীন, মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দালাল চক্রের মিথ্যা আশ্বাসে ভিসা ও কাজের ধরন না বুঝেই মালদ্বীপে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব প্রবাসী।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে মালদ্বীপ সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করে। পরে অবৈধ নিয়োগের কারণে তা বন্ধ হলেও ২০২৫ সালের মার্চে আবারো সীমিত আকারে ভিসা শিথিল করা হয়। কিন্তু এই সুযোগকে পুঁজি করে দালাল চক্র ‘ফ্রি ভিসা’ নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

মালদ্বীপের আইনে ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু নেই। কিছু কোম্পানির কোটা খালি থাকলে নির্দিষ্ট খরচে কর্মী নিয়োগের সুযোগ থাকে। কিন্তু দালালরা এসব কোটা কিনে লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করে, বলছে- “যেখানে খুশি কাজ করতে পারবেন”। অথচ মালদ্বীপে স্পন্সর ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করা আইনত অপরাধ।

এই ভিসায় মালদ্বীপে গিয়ে অনেকেই কাজ পান না, বাধ্য হয়ে অন্যত্র অল্প বেতনে কাজ করেন বা আইন লঙ্ঘন করেন। সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকার ঘোষণা দিয়েছে, যারা নির্ধারিত নিয়োগকর্তার বাইরে কাজ করছেন, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, গত অক্টোবরেই মালদ্বীপ সরকার ১১ হাজারের বেশি ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করেছে, যার বড় অংশই বাংলাদেশি। কিন্তু ভিসার ধরন ও স্থানীয় আইন না জানায় অনেকেই অবৈধ হয়ে পড়ছেন। এতে মালদ্বীপে বৈধভাবে কাজ করা বাংলাদেশিরাও সমস্যায় পড়ছেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, “ফ্রি ভিসা নিয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও দালালদের প্রলোভনে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন”। তিনি পরামর্শ দেন, মালদ্বীপে আসার আগে পরিচিতদের মাধ্যমে তথ্য যাচাই এবং হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ সরকারের এখনই উচিত ‘ফ্রি ভিসা’ প্রতারণা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। তা না হলে মালদ্বীপের মতো গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। প্রবাসীদের সুরক্ষা এবং বৈধ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।

তথ্যসূত্র: সময় নিউজ

Logo