বিদেশের বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে যেসব প্রশ্ন করেন অফিসাররা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৫৪
বিদেশ ভ্রমণে যে কোনো ব্যক্তি এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঢুকতে চাইলে ইমিগ্রেশনের মুখোমুখি হতে হয়। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ভ্রমণকারীদের বেশ কিছু প্রশ্ন করে থাকেন। ভ্রমণকারী যে ভিসাতেই যান না কেন, তাকে এসব সাধারণ প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারতে হবে।
প্রথম প্রশ্ন যা সাধারণত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা করে থাকেন, আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য কী? বা কেন এসেছেন এই দেশে?
জবাবে আপনাকে সোজাসাপ্টা করে কারণটি বলতে হবে। ট্যুরিজম, ভিজিট, মিটিং বা কনফারেন্স বা পড়াশোনা বা মেডিকেল ট্রিটমেন্ট যাই হোক তা জানাতে হবে। অস্পষ্ট করে ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বললে সন্দেহ হতে পারে। মিটিং বা কনফারেন্সে গেলে ইনভাইটেশন লেটার সাথেই রাখতে হবে। অনেক সময় ঠিকঠাক কাগজ বা জবাব না দিতে পারার কারণে ইমিগ্রেশন পার হতে দেরি হওয়া এমনকি দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হতে পারে- কত দিন থাকবেন? স্পষ্ট করে জানাতে হবে যে আপনি ১০ দিন বা ১৫ দিন থাকবেন। এরপর পরই ইমিগ্রেশন অফিসার জানতে চাইতে পারেন যে, আপনি কোথায় থাকবেন এবং আপনার রিটার্ন টিকিট সাথে আছে কিনা? উত্তরে পরিষ্কার করে জানাতে হবে যে আপনি কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের বাসায় থাকবেন। যদি হোটেলে থাকেন, তাহলে হোটেল বুকিং দেখতে চাইতে পারে এবং আপনাকে বুকিংয়ের কাগজ দেখাতে হবে। রিটার্ন টিকিট সাথেই রাখতে হবে। রিটার্ন টিকিট সাথে রাখলে ইমিগ্রেশন অফিসার অনেক সময় নিশ্চিত হন যে, আপনার উদ্দেশ্য ঠিক আছে এবং আপনি কাজ শেষে দেশে ফেরত যাবেন।
আরেকটি প্রশ্ন করে থাকেন ইমিগ্রেশন অফিসাররা আর তা হলো ভ্রমণের জন্য আপনার সাথে কত ডলার আছে? নগদ টাকার পরিমাণ, ক্রেডিট কার্ড থাকলে পরিষ্কারভাবে তাকে তা জানাতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ায় বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশিকে দেশটিতে ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে বিমানবন্দর থেকে। কারণ হিসেবে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বলেছে, ভিজিট বা ট্যুরিস্ট ভিসায় ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের সাথে পর্যাপ্ত ডলার বা রিংগিত ছিল না। অনেকেরই রিটার্ন টিকিট বা হোটেল বুকিং ছিল না।
পেশার তথ্য জানতে চাইলে জানাতে হবে যে আপনি কোন পেশার মানুষ। এর বাইরে কোন ওষুধপত্র সাথে আছে কিনা, তা জানতে চাইতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ওষুধ বা প্রেসক্রিপশন দেখাতে হতে পারে।
ইমিগ্রেশনে সব সময় সত্য ও সরল উত্তর দিতে হবে। কথা ঘোরানো, পাল্টা প্রশ্ন করা, কিংবা রাগের স্বরে কথা বলা ঠিক নয়। যথা সম্ভব হাসিমুখে ভদ্রভাবে সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে হবে। বাড়তি কথা এড়িয়ে যেতে হবে। ফলে বিদেশ ভ্রমণে পাসপোর্ট, ভিসা, হোটেল বুকিং, পর্যাপ্ত ডলার, ইনভাইটেশন লেটার হাতে রাখতে হবে। সব ঠিক থাকলে বিদেশ ভ্রমণ হতে পারে নিরাপদ আর আনন্দময়।
logo-1-1740906910.png)