
দীর্ঘ সময় ধরে কমতে থাকা বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অবশেষে বাড়তে শুরু করেছে দেশের পুঁজিবাজারে। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব বেড়েছে ৪০টি। একই সময়ে স্থানীয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ২২৭টি, যা আগের মাসে ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১টি। অর্থাৎ এক মাসে বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৮২৬টি। এর মধ্যে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব বেড়েছে ৪৩ হাজার ৭৬১ থেকে ৪৩ হাজার ৮০১-এ।
তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরের তুলনায় এখনো বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম রয়েছে। ওই সময় বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি, যা বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭১১টি কমে।
স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৫৯১টি। বর্তমানে তাদের বিও হিসাব সংখ্যা ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৫টি। যদিও ২০২৪ সালের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি, অর্থাৎ এক বছরে কমেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩২৪টি।
লিঙ্গভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব এক মাসে বেড়েছে ৫ হাজার ৫৭৮টি এবং নারী বিনিয়োগকারীদের বেড়েছে ১ হাজার ৪৯টি। কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ১৯৯টি।
একক নামে বিও হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ২১৯টি এবং যৌথ নামে বেড়েছে ১ হাজার ৪০৮টি।
তবে সূচক ও বাজার মূলধনের দিক থেকে বাজারে কিছুটা চাপ রয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ডিএসইএক্স সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে, যা আগের মাসে ছিল ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক মাসে সূচক কমেছে ১৭৯ পয়েন্ট। বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। লেনদেনও কমে এসেছে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে, শেষ ১৫ কার্যদিবসে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।
সব মিলিয়ে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়া পুঁজিবাজারে আস্থার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিলেও বাজারের সার্বিক চিত্র এখনো চ্যালেঞ্জিং।
তথ্যসূত্র: দৈনিক দেশ রূপান্তর