Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

জাপানে সম্ভাবনার শ্রমবাজার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩১

জাপানে সম্ভাবনার শ্রমবাজার

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার সংকুচিত হলেও জাপানের মতো উন্নত দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি। পারমাণবিক শক্তিধর না হয়েও জাপান বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি। জনসংখ্যা সীমিত, সমাজ রক্ষণশীল, তবু দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য দেশটি খুলে দিয়েছে ১৪টি খাতের দরজা।

২০১৯ সালের মে মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের সময় জাপানের সঙ্গে শ্রমবাজার নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর বাংলাদেশকে নবম দেশ হিসেবে জাপানে দক্ষ কর্মী প্রেরণের অনুমতি দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রস্তুতির ঘাটতি। জাপানি ভাষা শেখা এবং স্কিল টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক হলেও দেশে ভাষা শিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। দক্ষ প্রশিক্ষক ও মানসম্পন্ন কোর্সের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।

জাপানে শ্রমিক নিয়োগে নয়-ছয় যেন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অতীতে মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক প্রেরণে দুর্নীতি, দালালচক্র ও অনিয়মের কারণে বাংলাদেশি কর্মীরা প্রতারিত হয়েছেন। জাপানের মতো সংবেদনশীল ও নিয়মতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা ঘটলে তা শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার এখন সংকটে, দেশগুলো নিজেরাই নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে বিকল্প ও টেকসই শ্রমবাজার হিসেবে জাপানকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। দেশের ভেতরেই জাপানি ভাষা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাইকা ও জাপান সরকারের সহযোগিতা কাজে লাগানো যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, জাপানে শ্রমবাজারের সুযোগ শুধু রেমিট্যান্স নয়, বরং বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সম্মানজনক কর্মজীবন গড়ার পথও খুলে দিচ্ছে। এখন প্রয়োজন সময়োপযোগী প্রস্তুতি, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কার্যকর উদ্যোগ।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Logo