
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আন্তর্জাতিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান টপপে (Toppay)। ডিজিটাল পেমেন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল সেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ডিজিটালাইজেশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
টপপের বাংলাদেশ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS), ডিজিটাল ওয়ালেট, বিল পেমেন্ট, রেমিট্যান্স এবং এসএমই লেনদেন ব্যবস্থায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।
টপপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠী, প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন আমাদের বিনিয়োগে আগ্রহী করেছে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ যেন সহজে, নিরাপদে এবং দ্রুত ডিজিটাল লেনদেন করতে পারে।”
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এবং কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সহজলভ্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বলেন, টপপের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আসায় দেশের ফিনটেক খাতে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। একই সঙ্গে এটি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্যও ইতিবাচক বার্তা।
বিশ্লেষকদের মতে, টপপের আগমন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, নারী উদ্যোক্তা এবং তরুণদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, যারা সহজে ডিজিটাল পেমেন্ট ও আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
টপপে জানিয়েছে, তারা আগামী এক বছরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেবা বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়েছে এবং গ্রাহকদের জন্য থাকবে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা ব্যবস্থা।
এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে প্রযুক্তিনির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড