Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ইউরোপ থেকে ফেরত এসেছে ৫২ বাংলাদেশি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩

ইউরোপ থেকে ফেরত এসেছে ৫২ বাংলাদেশি

ইতালি, অস্ট্রিয়া, গ্রিস ও সাইপ্রাসে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ৫২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথম দফায় ৩২ জন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বাকি ২০ জনের ফেরার দিনক্ষণ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও পাসপোর্ট নম্বরসহ তথ্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাদের গ্রহণ করা হবে।

ইউরোপের সীমান্ত রক্ষাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বিত সংস্থা ‘ফ্রন্টেক্স’ অনিয়মিত অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কাজ করে। দেশে ফেরার পর ব্র্যাক এসব ব্যক্তিকে গ্রহণ, কাউন্সেলিং ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে পুনরেকত্রীকরণে সহায়তা করে।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এসওপি) সই করেছে। এর আওতায় ফেরত আসা অভিবাসীদের কল্যাণে কাজ করছে ব্র্যাক ও ফ্রন্টেক্স। তবে তিনি অনিয়মিত অভিবাসন ও সাগরপথে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও একাধিক দফায় বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ১৮৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। কিছু ফ্লাইটে ফেরত পাঠানোদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হলেও শেষ কয়েকটি ফ্লাইটে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফ্রন্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার ‘সেন্ট্রাল মেডিটেরিয়ান রুট’ ব্যবহার করেন। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পথে অন্তত ৭০ হাজার ৯০৬ বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। এভাবে যাত্রা করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ থেকে ৪০ বছর বয়সী বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে ৩১-৩৫ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি। তাদের অধিকাংশের বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজন দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্যভিত্তিক সচেতনতা এবং নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থার প্রসার।

তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল

Logo