নিষেধাজ্ঞা নয় বরং আমিরাতের ভিসা সহজ করার আলোচনা চলছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭

সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- এমন একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। শনিবার এমন ভুয়া খবর প্রকাশ পায় বাংলাদেশের বেশির ভাগ মূলধারার গণমাধ্যমে।
যদিও মাইগ্রেশন কনসার্ন মূলধারা গণমাধ্যমের বিপরীতে খবর দেয় যে, এমন নিষেধাজ্ঞার খবরের সত্যতা নেই। কেননা এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এমনকি দুবাইয়ের মূলধারার গণমাধ্যমে এমন কোনো খবর প্রকাশ হয়নি। মাইগ্রেশন কনসার্ন দুবাইয়ে থাকা সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হয় যে, নিষেধাজ্ঞার সংবাদটি সত্য নয়।
ঘটনার দুই দিন পর এ নিয়ে সংবাদ এলো আমিরাতভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমসে। তাতে একই ধরনের বার্তা দিয়েছে গণমাধ্যমটিও।
আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের বরাত দিয়ে খালিজ টাইমস্ লিখেছে, আমিরাত সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। দেশের গণমাধ্যম, যারা আমিরাতের এমন ভুয়া খবর প্রকাশ করেছেন তারাও আমিরাত সরকারের কোনো ভাষ্যের কথা উল্লেখ করেনি। বরং বাংলাদেশিদের জন্য যাতে ভিসা সহজ করা যায়, তা নিয়ে দূতাবাস আমিরাত সরকারের সাথে আলোচনার মধ্যেই আছে। তাহলে প্রশ্ন জাগে, কারা ছড়াল এমন ভুয়া ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবর?
দুবাইয়ে থাকা সাংবাদিকদের সাথে রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের টেলিফোন আলাপের একটি অডিও মাইগ্রেশন কনসার্নের হাতে এসেছে। তাতে রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ সন্দেহ করছেন, কোনো একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আমিরাতের ভুয়া ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবর ছড়ানো হতে পারে।
এদিকে, ২২ সেপ্টেম্বর আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, uaevisaonline.com নামের ওয়েব সাইট থেকেই ভুয়া নিউজটি ছড়ানো হয়। যা মূলত একটি ভিসা প্রসেসিং সেন্টার হবার সম্ভাবনা। যদিও তাদের ঠিকানা অস্তিত্বহীন। আরব আমিরাত দূতাবাস ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের আগে গণমাধ্যমকে আরো দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বানও জানিয়েছে।
খালিজ টাইমস আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের বরাতে লিখেছে, ১০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বাস দেশটিতে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রায় শামিল হচ্ছেন সামনের কাতারে থেকে। তারা আরব আমিরাতের অগ্রযাত্রা আর সফল্যের অংশীদার হতে চান।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমিরাতের মোট জনসংখ্যার ৭.৪ শতাংশ। আমিরাতে বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তানের পরই সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশির বাস দেশটিতে। দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স। বিগত অর্থবছরে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশে আসা রেমিট্যান্সের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।