
বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়েত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসিআই) এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর কুয়েত সিটির আল বুম হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৬ সালে এফবিসিসিআই ও কেসিসিআইর মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকল অব কো-অপারেশনের পর এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, তৈরি পোশাক, ওষুধ, কৃষিপণ্য ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কুয়েতের পক্ষ থেকে কেসিসিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেসিসিআইর সহকারী মহাপরিচালক ফিরাত এম. আল-ওদা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সহযোগিতা আরো বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি শুধু পূর্ববর্তী চুক্তির ধারাবাহিকতা নয়, বরং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন।”
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, তরুণ জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন। বিশেষ করে পোশাক, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধি দলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করে সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করছে।”
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্প প্রতিনিধিরা নিজ নিজ খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে পরিদর্শনের আহ্বান জানান। কুয়েতি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করার পরিকল্পনার কথা জানান।
বৈঠকটি পারস্পরিক সহযোগিতার ইতিবাচক বার্তা দিয়ে শেষ হয়। উভয় পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর