ইউরোপে অনিয়মিত প্রবেশের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২৪

অনিয়মিত প্রবেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। তারপরই অবস্থান করছে মিসর এবং আফগানিস্তানের নাগরিকরা৷ মূলত পশ্চিম বলকান, সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর, পশ্চিম ভূমধ্যসাগর, পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং পশ্চিম আফ্রিকার অভিবাসন পথ দিয়েই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী ইইউর দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করে থাকেন৷ খবর ইনফো মাইগ্রেন্টস বাংলা।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে অনিয়মিত পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ ভাগ কমেছে৷ ইইউর সীমান্ত রক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স এই তথ্য জানায়৷
উল্লেখিত সময়ের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৩৭৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী বিভিন্ন অভিবাসন রুট হয়ে অনিয়মিতভাবে ইইউর দেশগুলোতে এসেছেন৷
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমে এসেছে পশ্চিম আফ্রিকা রুট দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা৷ ফ্রন্টেক্স জানায়, এই রুট দিয়ে উল্লেখিত সময়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২ ভাগ কমেছে৷
তাছাড়া উল্লেখিত সময়ে পশ্চিম বলকান রুট দিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৪৭ ভাগ কমে এসেছে৷ আর ইউরাপের পুর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে ৪৪ ভাগ৷
এদিকে, সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় পথ দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা আগের মতোই রয়ে গেছে৷ মোট অভিবাসনপ্রত্যাশীর ৩৭ ভাগ এই পথ দিয়ে ইইউতে ঢুকেছেন৷ চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার ৯০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী এই পথ দিয়ে ইউরোপে এসেছেন৷
পশ্চিম ভূমধ্যসাগর দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ২২ ভাগ বেড়েছে৷ পূর্ব ভূমধ্যসাগর দিয়ে আসার সংখ্যা ১৮ ভাগ কমেছে৷
অনিয়মিত পথে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা কমে এলেও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় মৃতের সংখ্যা থামানো যাচ্ছে না৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য মতে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছর ১ হাজার ১৩১ জন নিহত হয়েছেন।
ফ্রন্টেক্স হলো ইইউর সীমান্ত নজরদারি সংস্থা৷ বাহিনীটির মোট ৩ হাজার ৭০০ সদস্য ব্লকের বহিঃসীমান্তে বিভিন্ন দেশের সীমানায় নজরদারিতে স্থানীয় বাহিনীকে সহযোগিতা দিয়ে থাকে৷