শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের দায়িত্ব নেবে কে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৭

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) ও জাপানি কনসোর্টিয়াম। তিন দিনব্যাপী এই আলোচনার প্রথম দুই দিন CAAB চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক এবং শেষ দিন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এস কে বশির সভাপতিত্ব করবেন।
আলোচনায় অংশ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা IFC, যারা এই প্রকল্পের লেনদেন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। উপদেষ্টা বশির জানিয়েছেন, “আমরা সব অস্পষ্টতা দূর করেছি, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা জাপানি কনসোর্টিয়ামের।” তিনি আরো বলেন, যদি সুমিতোমো রাজি না হয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকার বিকল্প আন্তর্জাতিক অপারেটরের দিকে যেতে প্রস্তুত।
প্রায় ২১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটি জাইকার (JICA) অর্থায়নে তৈরি হয়েছে। গত আগস্টে বিমানের একটি ফ্লাইট পরীক্ষামূলকভাবে টার্মিনালটি ব্যবহার করলেও পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। মূলত সুমিতোমো কর্পোরেশন, জাপান এয়ারপোর্ট টার্মিনাল কোম্পানি, নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্পোরেশন, সোজিৎস কর্পোরেশন এবং জাপানি সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকে পিপিপি মডেলে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল আগের সরকারে।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দুই বছরের জন্য নির্ধারণ করায় কনসোর্টিয়ামের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা পরিচালনার পাশাপাশি রাজস্ব ভাগাভাগির অধিকারও চায়। CAAB সূত্রে জানা গেছে, মূল জটিলতা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে।
এই টার্মিনালটি চালু হলে যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে ৮ মিলিয়ন থেকে ২৪ মিলিয়নে উন্নীত হবে। এতে থাকবে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ১২৫টি ইমিগ্রেশন ডেস্ক এবং তিনটি ভিআইপি ডেস্ক। এটি ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও হজ ক্যাম্পের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
তথ্যসূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড