এয়ার টিকিটের বাজারে অরাজকতা, ১৩ ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০২

বাংলাদেশে এয়ার টিকিটের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। ৯ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো গ্রুপ বুকিংয়ের নামে জনপ্রিয় রুটের টিকিট অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্লক করে রাখে এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও সাব-এজেন্টদের মাধ্যমে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে। এতে সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিট সংকট তৈরি হয় এবং বাজারে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী, অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। তবে মাত্র দুটি এজেন্সি শুনানিতে হাজির হয়ে কাগজপত্র দাখিল করে, বাকিরা কোনো তথ্য না দিয়ে অনুপস্থিত থাকে। তদন্তে অংশগ্রহণকারী দুই এজেন্সির বিরুদ্ধেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
জনস্বার্থে এবং আকাশপথে সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ, জে এস ট্রাভেল, হাসেম এয়ার, ফোর ট্রিপ, কিং এয়ার, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ও এনএমএসএস ইন্টারন্যাশনালের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি, জিডিএস, জিএসএ বা এয়ারলাইন্স সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনগণকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এসব বাতিলকৃত এজেন্সি থেকে কোনো ধরনের টিকিট ক্রয়-বিক্রিসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে। যাত্রীসাধারণের স্বার্থ রক্ষায় সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
তথ্যসূত্র: সময় অনলাইন