Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক কমছে আশঙ্কাজনক হারে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭

বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক কমছে আশঙ্কাজনক হারে

দেশের পর্যটন খাতে আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে বিদেশি পর্যটকদের আগমন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার কমেছে, যা দেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা।

২০২৩ সালে এই খাত থেকে আয় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ডলারে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি পর্যটক কমে যাওয়ায় থাকা, খাওয়া ও ভ্রমণ বাবদ ব্যয়ও হ্রাস পেয়েছে। ফলে আয় কমেছে পর্যটন খাতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের পর্যটন এখন দেশি পর্যটকনির্ভর হয়ে পড়েছে। ঈদসহ ছুটির দিনে অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যটনের চিত্র ভিন্ন। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, “অনলাইন বা ই-ভিসা সুবিধা না থাকায় বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি পর্যটন স্থানগুলোর আন্তর্জাতিক প্রচারণার অভাব রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, সুন্দরবন, কক্সবাজার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, পাহাড়ি অঞ্চল ও ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলোর বৈশ্বিক প্রচার বাড়ানো গেলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারত। রাজনৈতিক অস্থিরতাও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন ভারতে। ২০২৪ সালে ভারত এই খাত থেকে আয় করেছে ৩ হাজার ৫০২ কোটি ডলার। শ্রীলঙ্কা আয় করেছে ৩১৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১৬ লাখ ৪০ হাজার পর্যটক এসেছিলেন, যার মধ্যে ৮০% ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি। বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ লাখ ৯০ হাজার। তাদের মধ্যে ৭২% আকাশপথে এবং ২৮% স্থলপথে ভ্রমণ করেন।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম বলেন, “কোভিড-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যটনে ইতিবাচক ধারা দেখা গেছে। তবে এই ধারা ধরে রাখতে নতুন বিপণন কৌশল, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উৎসভিত্তিক প্রচারণায় বৈচিত্র্য আনতে হবে।”

তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

Logo