Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

কুয়েতের আর্টিকেল ১৮ ভিসায় চাকরি হলে সতর্ক থাকুন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৬

কুয়েতের আর্টিকেল ১৮ ভিসায় চাকরি হলে সতর্ক থাকুন

কুয়েতে কাজের আশায় যাওয়া অনেক অভিবাসীই আর্টিকেল ১৮ ভিসা পান। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, এই ভিসার ভেতরে রয়েছে তিনটি ভিন্নধর্মী উপধারা, যার নিয়ম-কানুন ও সুযোগ-সুবিধা একেবারেই আলাদা। নিয়োগদাতারা অনেক সময় এসব তথ্য গোপন রাখেন। ফলে কর্মীরা পরে চাকরি বদল করতে গিয়ে বিপদে পড়েন।

১. প্রাইভেট কোম্পানি ভিসা

এই ভিসা সবচেয়ে সাধারণ ও তুলনামূলকভাবে নমনীয়। তিন মাসের নোটিশ দিয়ে চাকরি বদল করা যায়, যদি চুক্তির শর্ত পূরণ হয়। কুয়েতের শ্রম আইনের অধীনে কর্মঘণ্টা, ছুটি ও সেবা শেষ সুবিধা পাওয়া যায়।

কিন্তু সতর্কতা: সব প্রাইভেট কোম্পানি ভিসা আসলে বদলযোগ্য নয়। অনেকে পরে বুঝতে পারেন, তাদের ভিসা সীমিত ক্যাটাগরির, যা চাকরি বদলের সুযোগ দেয় না।

২. ক্ষুদ্র প্রকল্প বা SME ভিসা

এই ভিসা ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যু হয়। দেখতে সাধারণ আর্টিকেল ১৮-এর মতো হলেও চাকরি বদলের নিয়ম অত্যন্ত কঠোর। তিন বছর কাজ না করলে অন্য কোথাও বদলি সম্ভব নয় এবং বদলও হতে হবে SME ক্যাটাগরির মধ্যেই।

সমস্যা: ভিসায় স্পষ্টভাবে SME লেখা না থাকায় অনেকেই পরে বুঝতে পারেন, তারা এই সীমিত ক্যাটাগরির আওতায় পড়েছেন।

৩. প্রকল্পভিত্তিক ভিসা

এই ভিসা বড় প্রকল্প। যেমন নির্মাণ, তেল বা অবকাঠামো এর জন্য ইস্যু হয়। তিন বছর পর্যন্ত চাকরি বদল নিষিদ্ধ। প্রকল্প শেষ হলেও বদল করতে হলে প্রয়োজন হয় মালিকের সম্মতি, সরকারি অনুমোদন এবং ৩৫০ কুয়েতি দিনার ফি।

ফাঁদ: প্রকল্প শেষ না হলে কর্মীরা কুয়েত ছেড়ে পুনরায় প্রবেশ না করা পর্যন্ত চাকরি বদল করতে পারেন না।

আরব টাইমস পরামর্শ দিয়েছে, চাকরির অফার গ্রহণের আগে ভিসার ধরন ও শর্ত ভালোভাবে যাচাই করুন। একই “আর্টিকেল ১৮” নাম হলেও বাস্তবে ভিসার ধরন বদলে দিতে পারে আপনার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন।

তথ্যসূত্র: আরব টাইমস

Logo