
ওমান থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসী সুমন অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরেছেন। ২৭ আগস্ট বেলা ১১টায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে তার বড় ভাই মামুনের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের একটি অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন।
ব্র্যাকের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল হাসান জানান, বিদেশ থেকে ফেরত আসা মানসিক ভারসাম্যহীন অভিবাসীদের অনেক সময় পাসপোর্ট থাকে না, শুধু একটি ট্রাভেল পাস নিয়ে তারা দেশে ফেরেন। মানসিক অসুস্থতার কারণে সেই পাসও হারিয়ে ফেলেন অনেকে। ফলে তাদের স্বজনদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে বিমানবন্দরে একটি সহায়তামূলক কাঠামো গড়ে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সুমনের মতো আরো ১৪৮ জন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। গত আট বছর ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরতদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। সিভিল এভিয়েশন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও এপিবিএনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০ জন প্রবাসীকে উদ্ধার করেছে ব্র্যাক। এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়ন, যিনি মানব পাচার বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টিআইপি হিরো-২০২৪ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা রায়হান কবিরসহ একটি নিবেদিত টিম।
উল্লেখ্য, ২৬ আগস্ট ব্র্যাকের সহায়তায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন সুমন। প্রবাসে বা বিদেশ থেকে ফিরে সংকটে থাকা ব্যক্তিরা ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: ব্র্যাক মাইগ্রেশন ফেসবুক পেজ