Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সৌদি চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক “তাকামুল” সার্টিফিকেশন কী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৫

সৌদি চাকরির জন্য বাধ্যতামূলক “তাকামুল” সার্টিফিকেশন কী?

সৌদি আরবের শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে হলে এখন শুধু পাসপোর্ট আর মেডিকেল রিপোর্ট যথেষ্ট নয়। “তাকামুল” নামের একটি পেশাগত দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াও বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। এই পরীক্ষায় পাস না করলে ভিসা বাতিল, চাকরি বাতিল সবই সম্ভব। ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক নতুন বাস্তবতা। দক্ষতা ছাড়া সৌদি যাওয়া এখন প্রায় অসম্ভব।

“তাকামুল” হলো সৌদি সরকারের একটি স্কিল সার্টিফিকেশন কর্মসূচি, যার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের পেশাগত দক্ষতা যাচাই করা হয়। এটি মূলত কারিগরি, নির্মাণ, ইলেকট্রিক, প্লাম্বিং, মেকানিক, হোটেল পরিষেবা ইত্যাদি খাতে প্রযোজ্য।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রস্তুতির ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

১. পেশা অনুযায়ী কোর্স নির্বাচন: যে পেশায় আপনি সৌদি আরবে কাজ করতে চান, সেই অনুযায়ী কোর্স বেছে নিতে হবে। যেমন: ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, প্লাম্বার, হাউজকিপার ইত্যাদি।

২. প্রশিক্ষণ গ্রহণ: সরকারি ও বেসরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এখন “তাকামুল” ভিত্তিক কোর্স চালু হয়েছে। ১-৩ মাসের মধ্যে এই কোর্স শেষ করা যায়।

৩. মক টেস্ট ও অনুশীলন: অনেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এখন মক টেস্টের ব্যবস্থা রেখেছে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন বুঝে প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

৪. রেজিস্ট্রেশন ও ফি প্রদান: পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি (প্রায় ৫,০০০-৮,০০০ টাকা) দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফি বহন করে।

৫. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ: পরীক্ষা সাধারণত অনলাইন বা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। পাস করলে “তাকামুল” সার্টিফিকেট ইস্যু হয়, যা সৌদি ভিসার আবেদনের সময় সংযুক্ত করতে হয়।

মো. কামরুল ইসলাম; একজন ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর বলেন, “তাকামুল শুধু একটা সার্টিফিকেট নয়, এটা শ্রমিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতীক। যারা দক্ষ, তারা এখন ভালো বেতন পাচ্ছেন, ভালো কাজ পাচ্ছেন।”

তাকামুল (দক্ষতা) সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো বাংলাদেশির ভিসা আর স্ট্যাম্পিং করবে না ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। অথচ বাংলাদেশের মোট জনশক্তি রপ্তানির ৭০ ভাগই যায় সৌদি আরবে। আর সৌদিতে যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের ৯৫ ভাগই অদক্ষ। তবে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদির শর্ত আগামী এক বছর শিথিল রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। 

মাইগ্রেশন কনসার্ন রিপোর্ট

Logo