বিদেশে কর্মী পাঠানো কমলেও গত অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশ। অন্তর্বর্তী সরকার এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ইউরোপ ও জাপানের মতো উচ্চ বেতনের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছে। ইতালি ও জাপানের সঙ্গে নতুন চুক্তি হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে জাপানে পাঁচ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় কর্মী পাঠানো বেড়েছে ৪ শতাংশ। বোয়েসেল বিনা খরচে ১৬ হাজারের বেশি কর্মী পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালুর উদ্যোগে ৮ হাজার কর্মী পাঠানোর চুক্তি হয়েছে। সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক, গায়েনা, ওমান, স্পেন, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া, মাল্টা ও মরিশাসের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।
বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষায় মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হয়েছে। কাতার, সৌদি আরব, ওমান, কুয়েত ও জর্ডানে আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনিয়মিত নারী শ্রমিকদের নিয়মিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ‘প্রবাসী লাউঞ্জ’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ৩০ শতাংশ ছাড়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার মিলছে।
দেশে ৪৪টি টিটিসিতে জাপানি, ইংরেজি, চীনা ও কোরীয় ভাষা প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে। কেয়ারগিভার প্রশিক্ষণ যুক্ত করা হয়েছে। দক্ষতা পরীক্ষার জন্য ১৫টি টিটিসি ও বিআরটিসি সেন্টার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করতে বেসরকারি অ্যাপ বন্ধ করে সরকার নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যেখানে সরাসরি বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ কমছে।
আরব আমিরাত থেকে সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত ১৮৮ জন কর্মীকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসন ঋণ পেয়েছেন ১৪ জন, আরো ১২ জনের প্রক্রিয়া চলমান।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষ কর্মী তৈরির প্রশিক্ষণ ও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকারের উদ্যোগ অভিবাসন খাতে নতুন গতির সঞ্চার করেছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
logo-1-1740906910.png)