তিন বছরে নতুন দেশে কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য: আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪১

বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন নতুন দেশে দক্ষ, অল্প দক্ষ, মৌসুমি ও স্থায়ী কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসন-সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার দীর্ঘদিন ধরে অদক্ষ শ্রমিকনির্ভর হলেও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে এখন এসব খাতে দক্ষতার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তোলার পাশাপাশি জাপান, কোরিয়া ও ইউরোপের মতো উন্নত শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হলে আগামী পাঁচ বছরে শুধু জাপানেই লাখের বেশি শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হবে।
তবে শ্রমবাজার অনুসন্ধানে সরকারের দুর্বলতা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সরকারি পর্যায়ে শ্রমবাজার নিয়ে গবেষণা বা মার্কেট রিসার্চ কার্যক্রম নেই বললেই চলে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোও এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। তিনি জানান, বর্তমান সরকার কিছু উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পরবর্তী সরকারের জন্য একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা দলিল রেখে যাবে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রমবাজার পুনরায় চালু করতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে অগ্রগতি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় মাসখানেকের মধ্যে কর্মী পাঠানো শুরু হবে। তবে আরব আমিরাতের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রবাসীদের কারণে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ওমানের সঙ্গে আলোচনার পর তারা অনিয়মিত শ্রমিকদের বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা ভবিষ্যতে নতুন নিয়োগের পথ খুলে দিতে পারে।
অভিবাসন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং অভিবাসীদের অধিকার ও সম্মান রক্ষায় সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের দুরবস্থা দূর করতে প্রবাসী লাউঞ্জ, সার্বক্ষণিক সহায়তাকারী ও রাতের অবস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীদের মালিকানায় একটি হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, “অল্প হলেও কিছু কাজ করেছি। শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, শ্রমিকের ভোগান্তি হ্রাস ও সুবিধা বৃদ্ধিতে আমরা সচেষ্ট ছিলাম। আশা করি, পরবর্তী সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখবে।”
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো