Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রামে পৌঁছাচ্ছে প্রবাসী আয়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৮

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রামে পৌঁছাচ্ছে প্রবাসী আয়

বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থায় সময়োপযোগী অবদান রাখছে এজেন্ট ব্যাংকিং। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাসী আয় পৌঁছাতে এটি কার্যকর চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল-জুন সময়ে এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬.১৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ আয় গেছে গ্রামীণ এলাকায়।

এই সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি একাই ৫৫.০৮ শতাংশ বা ১.০১ লাখ কোটি টাকার বেশি বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক (৫১,১৪৩ কোটি) এবং তৃতীয় স্থানে ব্যাংক এশিয়া (১৪,২৫৩ কোটি) রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “এজেন্ট ব্যাংকিং এখন আর পরীক্ষামূলক প্রকল্প নয়, এটি মূলধারার প্রবাসী আয় বিতরণ চ্যানেলে পরিণত হয়েছে।” তিনি জানান, এটি গ্রামীণ পরিবারকে ক্ষমতায়ন করছে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নকে ত্বরান্বিত করছে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শামেরগাঁও গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বিবি হাজরা বলেন, “সরকার প্রবাসী আয়ে ২.৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়, আর আমাকে ব্যাংকে যেতে হয় না।” তার তিন ছেলে বিদেশে কাজ করেন এবং টাকা পাঠান আনুষ্ঠানিক ব্যাংক চ্যানেলে। তিনি স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে কয়েক মিনিটেই অর্থ ও প্রণোদনা পান।

এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটগুলো পিওএস ডিভাইস, মোবাইল সংযোগ, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার ও সেফ ব্যবহার করে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করছে। প্রতিটি লেনদেনে এজেন্ট আউটলেট ৫৩ টাকা সেবামূল্য পায়। ডাচ-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়ার আউটলেট প্রতিদিন গড়ে ৫-৬ লাখ টাকা লেনদেন করে।

তবে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ৩০টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্স পেলেও রেমিট্যান্স বিতরণে কয়েকটি ব্যাংকই প্রভাবশালী। নারীরা এখনো ঋণ ও আর্থিক সেবায় পিছিয়ে।

তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

Logo