Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আসামে এক মাসে ৩৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৪

আসামে এক মাসে ৩৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বর্তমানে ব্যাপক মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে বাঙালি ভাষাভাষী মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চরম দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে। শুধু গত এক মাসেই পাঁচটি অভিযানে ৩,৪০০ মুসলিম পরিবারের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে রাজ্য সরকার।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলগুলোতে শত শত মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশু এখন নীল ত্রিপলের নিচে খোলা আকাশে গাদাগাদি করে দিন কাটাচ্ছেন। উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে আসামে বসবাস করছেন, সেখানে জন্মেছেন, বড় হয়েছেন। কিন্তু তাদের ‘বিদেশি’ ও ‘দখলদার’ আখ্যা দিয়ে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার মুসলিমদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে দমনপীড়নের মাত্রা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, মুসলিম অনুপ্রবেশ বন্ধ না হলে রাজ্যের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে মুসলিমদের। ২০১৯ সালে সিএএ সংশোধনের মাধ্যমে অমুসলিমদের নাগরিকত্বের সুযোগ দিলেও মুসলিমদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে মুসলিমবিরোধী বৈষম্যমূলক নীতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশ্লেষকরা বলছেন, বাঙালি মুসলিমরা রাজনৈতিকভাবে সহজ টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জোরপূর্বক ‘পুশব্যাক’ নীতি চালু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, যা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নাকচ করা হয়নি। আসামের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিজেপির আগ্রাসী ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ এবং ভোটের রাজনীতিতে বিভাজনের প্রয়াস সব মিলিয়ে আসামের মুসলিম সম্প্রদায় এখন ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Logo